Category: সারা বাংলা

  • বাঘায় ভুট্টা ক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় চাঞ্চল্যকর যুবক হত্যাকান্ডের একমাত্র আসামী গ্রেফতার

    বাঘায় ভুট্টা ক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় চাঞ্চল্যকর যুবক হত্যাকান্ডের একমাত্র আসামী গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় ভুট্টা ক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় চাঞ্চল্যকর যুবক হত্যাকান্ডের একমাত্র আসামী গিয়াস‘কে ঢাকার আশুলিয়া হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যার-৫।১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ  রাত্রী-৮:১৫মিনিটে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বলভদ্র নাম স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ভুট্টা ক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় চাঞ্চল্যকর যুবক হত্যাকান্ডের একমাত্র আসামী মোঃ লতিফুল ইসলাম অরফে গিয়াস (৩৩), পিতা-মোঃ জিন্নাত আলী, সাং-মুর্শিদপুর, থানা-বাঘা, জেলাজ-রাজশাহীকে গ্রেফতার করে এবং জব্দকৃত আলামত ০২টি মোবাইল ও ০২টি সীম উদ্ধার করে। গত ১০ এপ্রিল বিকাল আনুমানিক ৫:১৫মিনিটে সময় নিহত ভিকটিম রফিকুল ইসলাম অরফে শফিকুল (৩০) গবাদি পশুর ঘাস কাটার উদ্দেশ্য চক রাজাপুর ইউনিয়নের সিকরামপুর মৌজার মাঠে যায়। ঘাস কাটার সময় আসামি মোঃ লতিফুল ইসলাম অরফে গিয়াস তার ভুট্টা ক্ষেত থেকে ঘাস কাটতে দেখে পূর্ব শত্রুতার জেরে উক্ত ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ভিকটিম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে উক্ত আসামী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো হাসুয়া দিয়ে ভিকটিমকে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করে। তখন মাঠে থাকা মাঠ পাহারাদারগন ভুট্টা ক্ষেতের কাছে গেলে উক্ত আসামী হাসুয়া হাতে নিয়ে দ্রæত দৌড়ে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে মাঠ পাহারাদারগণ উক্ত ভুট্টা ক্ষেতের উত্তর-পূর্ব কোণায় গিয়ে ভিকটিমকে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক উক্ত ভিকটিমকে মোটরসাইকেল যোগে দ্রæত বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভিকটিমকে সন্ধ্যা ৬:১৫মিনিটে মৃত ঘোষণা করে। উক্ত নারকীয় হত্যাকান্ডের পর থেকেই আসামী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেকে আত্মগোপন করে। এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে ও দেশব্যাপী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয়। উক্ত ঘটনায় বাঘা থানায় নিহত ভিকটিম এর পিতা বাদী হয়ে উক্ত আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনায় জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী ও র‌্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের একমাত্র আসামীকে ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত্রী আনুমানিক ৮:১৫মিনিটে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বলিভদ্র নামক এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।উক্ত আসামীকে রাজশাহী জেলার বাঘা থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • ১ কেজি গাঁজা সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    ১ কেজি গাঁজা সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর হতে ০১ কেজি গাঁজা সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে র‌্যার-৫।১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ ৩:৩০ মিনিটে রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানাধীন রসুলপুর নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী  মোঃ নাজিম উদ্দীন (৩৬), পিতা- মোঃ জসিম মন্ডল,  সোহানুর ইসলাম নাহিদ (২১), পিতা-মোঃ নাজিম উদ্দীন, উভয় সাং- বর্ধনপুর, থানা- দূর্গাপুর, জেলা- রাজশাহী কে গ্রেফতার করে এবং জব্দকৃত আলামত গাঁজা -০১ কেজি, মোটরসাইকেল-০১ টি, মোবাইল-০২টি ও সীম-০৩ টি, উদ্ধার করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানাধীন রসুলপুর গ্রামস্থ কারবালা মোড় হতে হরিরামপুরগামী পাঁকা রাস্তার ধারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য মজুদ রেখে খুচরা ও পাইকারি ভাবে বিক্রয় করতেছে। পরবর্তীতে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল উক্ত আসামীদ্বয়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে এবং অদ্য তারিখ একটি আভিযানিক দল উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে তাদের দখলে থাকা ০১ টি মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উক্ত মোটরসাইকেলে থাকা ০১ টি বাজারের ব্যাগ তল্লাশী করে ০১ কেজি অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করে। ধৃত আসামীদ্বয় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক অজ্ঞাত স্থান হতে সংগ্রহ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট খুচরা পুরিয়া বা পাইকারিভাবে বিক্রয় করে আসছিল। উক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থায়ায় মাদক আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

  • রাজশাহীতে আপন ভাগ্নের হাতে মামা হত্যাকান্ডের প্রধান ০৩ জন আসামী গ্রেফতার

    রাজশাহীতে আপন ভাগ্নের হাতে মামা হত্যাকান্ডের প্রধান ০৩ জন আসামী গ্রেফতার

    স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আপন ভাগ্নের হাতে মামা হত্যাকান্ডের প্রধান ০৩ জন আসামী কে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যার-৫।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নিহত ভিকটিম সুরুজ (৪৫) এর সহিত এজাহারনামীয় আসামীদের মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। গত  ১১ এপ্রিল নিহত ভিকটিম সঙ্গে থাকা অপর ০৪ জন সহযোগী সহ রাজপাড়া থানাধীন লক্ষীপুর মোড় থেকে নতুন বিল শিমলায় যাওয়ার পথে তারিখ আনুমানিক সকাল ছয়টা সময় ঘটনাস্থল রাজপাড়া থানাধীন বহরমপুরস্থ সিটিবাইপাস ঘোড়াচত্তর নামক স্থানে পৌছালে উল্লেখিত এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে ভিকটিম সুরুজ আলী সহ সাথে থাকা অন্যদেরকে পথরোধ করে জমিজমা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও বাক বিতন্ডা করে। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে এজাহারনামীয় ২নং বিবাদীর হুকুমে ১নং বিবাদী ইট দিয়ে ভিকটিমের মাথা আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিম মাটিতে পড়ে গেলে বিবাদীগণ বুক-পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারে। উক্ত ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হলে উক্ত আসামীগণ দ্রুত পালিয়ে যায়। উক্ত নারকীয় হত্যাকান্ডের পর থেকেই আসামীগন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদেরকে আত্মগোপন করে। এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে ও দেশব্যাপী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয়। উক্ত ঘটনায় রাজপাড়া থানায় নিহত ভিকটিম এর ছেলে বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী ও র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ১। মোঃ হিরা (৪০), ২। মোঃ আশরাফ আলী (৪৫), উভয় পিতা মৃত-আনিচুর রহমান, ৩। মোছাঃ জাহানারা বেগম(৫০), স্বামী-মৃত আনিচুর রহমান সর্বসাং-বহরমপুর ব্যাংক কলোনী শেষ মাথা, থানা-রাজপাড়া, রাজশাহী মহানগরদের‘কে অদ্য  ১৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ আনুমানিক দুপুর ২:৫০মিনিটে মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন মস্তফাপুর নামক এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।